
ভাউকসার
এনায়েত গাজী চৌধুরীর পুত্রগণের মধ্যে গাজী চৌধুরী হােমনাবাদ পরগণার বহৎ জমিদারির অংশ ও অন্যান্য পরগণার বহু সম্পত্তি অর্জন করেন। তাঁর মৃত্যুর পর তদীয়। কন্যা বদরুন্নেছা চৌধুরানী লাকসাম পশ্চিমগাঁয়ে তাঁর মাতা নওয়াব ফয়জুন্নেসার বাড়িতে বসবাস করতে থাকেন। ভাউকসার বাড়িতে মাহমুদ গাজী চৌধুরীর ভাতিজা মুজাফর গাজী। চৌধুরী বসবাস করতে থাকেন। পরে তার জামাতা সৈয়দ এমদাদুল হক লাল মিয়া বসবাস করেনও জমিদারি দেখাশুনা করতেন। বর্তমানে লাল মিয়া সাহেবের উত্তরাধিকারীগণ। ভাউকসার বাড়িতে বাস করছেন।’
এই উপমহাদেশের একমাত্র মহিলা নওয়াব, “নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানীর” স্বামীর । বাড়ি ভাউকসার। তাঁর স্বামী ছিলেন প্রতাপশালী জমিদার মহামুদ গাজী চৌধুরী । বর্তমান। বরুড়া উপজেলাধীন ভাউকসার একটি প্রসিদ্ধ প্রাচীন গ্রাম। কুমিল্লা শহর হতে চাদপুরের। পথে মাত্র ১৪ মাইল দূরে। শহর হতে এক ঘণ্টার মধ্যে ভাউকসার পৌছা যায়।
পুরাতন ইমারত, মসজিদ স্কুল, মাঠ, দিঘি, মাদ্রাসা, ইউ, পি অফিস সহ প্রকাণ্ড বাড়ি দেখলে অনায়াসেই গৌরবােজ্জ্বল অতীত স্মৃতি মনের দর্পণে ভেসে ওঠে।
নওয়াব ফয়জুন্নেসা একবার নৌকা ভ্রমণে বের হয়ে লাকসাম পশ্চিমগাও হতে ৮ মাইল উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত ভাউকসার স্বামীর বাড়ি আসেন। নৌকা মাহমুদ গাজী চৌধুরীর বাড়ির পিছন দিয়ে পুকুর ঘাটে এসে লাগে । ৭ দিন নওয়াব ফয়জুন্নেসা নৌকার মধ্যে অবস্থান করে লাকসাম ফিরে যান বলে কথিত আছে।। | মােহাম্মদ গাজী চৌধুরীর ভাউকসারের বাড়িতে তার কন্যার অর্থাৎ নওয়াব ফয়জুন্নেসার। মেয়ের সর্তে সত্যবান হয়ে সে বাড়িতে বর্তমানে মােতয়াল্লী হিসেবে আছেন সৈয়দ রহমত উল্লা (সিজার)। তার আগে মােতয়ালী ছিলেন তারই নানা জনাব সৈয়দ আবুল ফজল সাহেব। সৈয়দ রহমত উল্লা সেখানে বেসরকারিভাবে অনেক সমাজকল্যাণমূলক কাজ করে। গেছেন এবং ভাউকসারে স্থায়ীভাবে বসবাস করেছেন। ২০১০ সালে সৈয়দ রহমত উল্লাহ। ইন্তেকাল করেন।
সৈয়দ এমদাদুল হক ওরফে লালমিয়া সিলেটের প্রসিদ্ধ পৈলে জন্মগ্রহণ করেন । তাই পিতার নাম সৈয়দ জহিরুল হক। তিনি ভাউকসার নিবাসী প্রসিদ্ধ জমিদার মুজাফফর গা চৌধুরীর কন্যাকে বিবাহ করে ভাউকসার বসবাস শুরু করেন। সৈয়দ এমদাদুল হক শতাব্দীর একজন উল্লেখযােগ্য ব্যক্তি। অল্প লেখাপড়া জানলেও তিনি ছিলেন অফুরন্ত প্রতিভার অধিকারী। সমস্ত বেঙ্গল ও আসামে তার নাম ছড়িয়েছিল। | তৎকালে তিনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। যেমন- ইউনিয়ন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, ১৯১৬ – ১৯২১ সাল নাগাদ অবিভক্ত বাংলার আইন পরিষদের সদস্য, কুমিল্লা, জেলা বাের্ডের মেম্বার, লােকাল বাের্ডের মেম্বার, রয়েল এশিয়াটিক সােসাইটির মেম্বার। ১৯৪৬ সালে হােসেন শহীদ সােহরাওয়ার্দীর অনুরােধে বেঙ্গল আইন। পরিষদের নির্বাচন হতে বিরত থাকেন। আইন পরিষদের সদস্য থাকাকালীন তিন কতগুলাে অতিগুরুত্বপূর্ণ আইনের পরিবর্তন সাধন করেন। যেমন— জেলখানায় মসজিদ ও নামাজের ব্যবস্থা, মৃত কয়েদীগণের জানাজা ও দাফনের ব্যবস্থা, জোর করে দাড়ি কামানাে। রহিতকরণ । ফারসি ও উর্দু তার ভালাে দখল ছিল। সংসদে তিনি ফারসিতে বক্তৃতা করতেন। তিনি হজ্জব্রত পালন করেন।।
এনায়েত গাজী চৌধুরীর পুত্রগণের মধ্যে গাজী চৌধুরী হােমনাবাদ পরগণার বহৎ জমিদারির অংশ ও অন্যান্য পরগণার বহু সম্পত্তি অর্জন করেন। তাঁর মৃত্যুর পর তদীয়। কন্যা বদরুন্নেছা চৌধুরানী লাকসাম পশ্চিমগাঁয়ে তাঁর মাতা নওয়াব ফয়জুন্নেসার বাড়িতে বসবাস করতে থাকেন। ভাউকসার বাড়িতে মাহমুদ গাজী চৌধুরীর ভাতিজা মুজাফর গাজী। চৌধুরী বসবাস করতে থাকেন। পরে তার জামাতা সৈয়দ এমদাদুল হক লাল মিয়া বসবাস করেনও জমিদারি দেখাশুনা করতেন। বর্তমানে লাল মিয়া সাহেবের উত্তরাধিকারীগণ। ভাউকসার বাড়িতে বাস করছেন।’
এই উপমহাদেশের একমাত্র মহিলা নওয়াব, “নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানীর” স্বামীর । বাড়ি ভাউকসার। তাঁর স্বামী ছিলেন প্রতাপশালী জমিদার মহামুদ গাজী চৌধুরী । বর্তমান। বরুড়া উপজেলাধীন ভাউকসার একটি প্রসিদ্ধ প্রাচীন গ্রাম। কুমিল্লা শহর হতে চাদপুরের। পথে মাত্র ১৪ মাইল দূরে। শহর হতে এক ঘণ্টার মধ্যে ভাউকসার পৌছা যায়।
পুরাতন ইমারত, মসজিদ স্কুল, মাঠ, দিঘি, মাদ্রাসা, ইউ, পি অফিস সহ প্রকাণ্ড বাড়ি দেখলে অনায়াসেই গৌরবােজ্জ্বল অতীত স্মৃতি মনের দর্পণে ভেসে ওঠে।
নওয়াব ফয়জুন্নেসা একবার নৌকা ভ্রমণে বের হয়ে লাকসাম পশ্চিমগাও হতে ৮ মাইল উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত ভাউকসার স্বামীর বাড়ি আসেন। নৌকা মাহমুদ গাজী চৌধুরীর বাড়ির পিছন দিয়ে পুকুর ঘাটে এসে লাগে । ৭ দিন নওয়াব ফয়জুন্নেসা নৌকার মধ্যে অবস্থান করে লাকসাম ফিরে যান বলে কথিত আছে।। | মােহাম্মদ গাজী চৌধুরীর ভাউকসারের বাড়িতে তার কন্যার অর্থাৎ নওয়াব ফয়জুন্নেসার। মেয়ের সর্তে সত্যবান হয়ে সে বাড়িতে বর্তমানে মােতয়াল্লী হিসেবে আছেন সৈয়দ রহমত উল্লা (সিজার)। তার আগে মােতয়ালী ছিলেন তারই নানা জনাব সৈয়দ আবুল ফজল সাহেব। সৈয়দ রহমত উল্লা সেখানে বেসরকারিভাবে অনেক সমাজকল্যাণমূলক কাজ করে। গেছেন এবং ভাউকসারে স্থায়ীভাবে বসবাস করেছেন। ২০১০ সালে সৈয়দ রহমত উল্লাহ। ইন্তেকাল করেন।
সৈয়দ এমদাদুল হক ওরফে লালমিয়া সিলেটের প্রসিদ্ধ পৈলে জন্মগ্রহণ করেন । তাই পিতার নাম সৈয়দ জহিরুল হক। তিনি ভাউকসার নিবাসী প্রসিদ্ধ জমিদার মুজাফফর গা চৌধুরীর কন্যাকে বিবাহ করে ভাউকসার বসবাস শুরু করেন। সৈয়দ এমদাদুল হক শতাব্দীর একজন উল্লেখযােগ্য ব্যক্তি। অল্প লেখাপড়া জানলেও তিনি ছিলেন অফুরন্ত প্রতিভার অধিকারী। সমস্ত বেঙ্গল ও আসামে তার নাম ছড়িয়েছিল। | তৎকালে তিনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। যেমন- ইউনিয়ন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, ১৯১৬ – ১৯২১ সাল নাগাদ অবিভক্ত বাংলার আইন পরিষদের সদস্য, কুমিল্লা, জেলা বাের্ডের মেম্বার, লােকাল বাের্ডের মেম্বার, রয়েল এশিয়াটিক সােসাইটির মেম্বার। ১৯৪৬ সালে হােসেন শহীদ সােহরাওয়ার্দীর অনুরােধে বেঙ্গল আইন। পরিষদের নির্বাচন হতে বিরত থাকেন। আইন পরিষদের সদস্য থাকাকালীন তিন কতগুলাে অতিগুরুত্বপূর্ণ আইনের পরিবর্তন সাধন করেন। যেমন— জেলখানায় মসজিদ ও নামাজের ব্যবস্থা, মৃত কয়েদীগণের জানাজা ও দাফনের ব্যবস্থা, জোর করে দাড়ি কামানাে। রহিতকরণ । ফারসি ও উর্দু তার ভালাে দখল ছিল। সংসদে তিনি ফারসিতে বক্তৃতা করতেন। তিনি হজ্জব্রত পালন করেন।।


Join the conversation
You can post now and register later. If you have an account, sign in now to post with your account.